অর্গানিক পণ্য বলতে কি বুঝায়?

অর্গানিক ফল, বাদাম, শাক-সবজি, খাদ্য-শষ্য এর ক্ষেত্রে:

১.

আপনি যদি কোন চিনাবাদাম কে অর্গানিক বলতে চান তাহলে সেই চিনাবাদামের জাত হতে নেটিভ ভ্যারাইটির, প্রজাতিটি হতে হবে নন জিএমও। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বানিজ্যিকভাবে চাষ করার জন্য ল্যাবরেটরীতে জিন মডিফিকেশনের মাধ্যমে উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন করা হয়, আমরা সহজে যেটাকে হাইব্রিড বলে থাকি। নেটিভ বা স্থানীয় বিভিন্ন জাতের প্রাকৃতিক সংকরায়নের মাধ্যমে যে প্রজাতি উদ্ভাবন করা হয় সেগুলো উচ্চ ফলনশীল হলেও সেসব প্রজাতিকে জিএমও বলা যায় না। শুধুমাত্র ল্যাবরেটরীতে সুক্ষ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে উদ্ভাবিত জাতই জিএমও।

২.

এমন স্থানীয় প্রজাতির কোন ফসল চাষে যদি কেউ সিনথেটিক সার ব্যাবহার করেন তাহলে সেই ফসলকে অর্গানিক বলা যাবে না। শুধুমাত্র প্রাকৃতিকভাবে প্রাপ্ত জৈব সার ব্যবহার করলে সেই ফসলকে অর্গানিক বলা যাবে।

৩.

ফসল উৎপাদনে সেচ অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু যদি সেচের পানি হিসেবে সুয়ারেজ বা পয়নালার পানি বা সার হিসেবে পয় বর্জ ব্যবহার করা হয় তাহলে সেই ফসলকে অর্গানিক বলা যাবে না। সরাসরী প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া পানি ব্যবহার করে উৎপাদিত ফসলকে অর্গানিক বলা যাবে।

৪.

সিনথেটিক কীটনাশক ব্যবহার করে উৎপাদিত ফসলকে অর্গানিক বলা যাবে না। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রাকৃতিক কীটনাশক ব্যবহার বেড়েছে। মেহগনির ফল, নিম ফল, নিমপাতা, নিমের ছাল, আতাগাছের পাতা, মূল এবং ছাল, বিষকাঁটালিগাছ, ধুতরার পাতা, গাঁদা ফুলের পাতা, দূর্বা, গরুর মূত্র, ইত্যাদি উপকরণ ব্যভহার করে প্রাকৃতিক কীটনাশক তৈরী করা যায়। অর্থাৎ শুধুমাত্র প্রাকৃতিক কীটনাশক অথবা কোন কীটনাশক ছাড়া উৎপাদিত ফসলকে অর্গানিক বলা যাবে।

৫.

রেডিয়েশন বা তেজস্ক্রিয় পদার্থের সংস্পর্শে কোন ফসল উৎপাদিত হলে (যেমন: চেরনোবিল বা ফুকুশিমা অঞ্চলে উৎপাদিত ফসল বা পণ্য) বা উৎপাদনের কোন স্তরে (তেল উৎপাদন, রিফাইন ইত্যাদি ক্ষেত্রে) যদি কোন প্রকার রেডিয়েশন এর সংস্পর্শে আসে তাহলে উৎপাদিত ফসল বা পণ্যকে অর্গানিক বলা যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *